ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​চরফ্যাশনে বেবি তরমুজ চাষে আমিরের সাফল্য

আপলোড সময় : ১৭-১০-২০২৪ ০৩:৩০:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৭-১০-২০২৪ ০৩:৩০:৪৫ অপরাহ্ন
​চরফ্যাশনে বেবি তরমুজ চাষে আমিরের সাফল্য ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ থানার আমির হোসেন প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। চলতি মৌসুমে তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। তাঁর খামারে এখনো ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ আছে। এসব তরমুজ চাষ করতে তাঁর খরচ হয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার টাকা। শীতকাল ছাড়া বছরের যে কোনো সময় দুই থেকে তিন বার এ তরমুজ চাষ করা যায়।
প্রথমবারের মতো নিজের ২৪ শতক জমিতে ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজের বীজ বোপণ করেন কৃষক আমির হোসেন। তিনি পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর সহযোগিতায় দুই মাসের মাথায় তিনি তরমুজের ভালো ফলন পেয়েছেন। প্রতি কেজি বেবি তরমুজ ৮০-৯০ টাকা দরে তিনি বিক্রি করেন। এক একটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৫ কেজি। এছাড়াও এসব বেবি তরমুজ শশীভূষণ ও চরফ্যাশন ও ভোলা সদর রোড এলাকার ফলের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়।
তরমুজ চাষী আমির হোসেন বলেন, আগে তিনি সবজি চাষ করতেন। বাজারে বিদেশি জাতের ‘ব্ল্যাক বেবি’ তরমুজ চড়া দামে বিক্রি হতে দেখে তাঁর আগ্রহ বাড়ে। তিনি প্রথমবারের মতো এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। আগামী বছর ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষ তিনগুণ বাড়ানো কথা জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, তার এই সফলতা দেখে বাড়ির আশেপাশের অনেক মানুষ বেবি তরমুজ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান বলেন, আমি আমির হোসেনের বেবি তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। সাধারণ তরমুজের চেয়ে এই তরমুজ বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদু। এ তরমুজের বাজারমূল্য ভালো। এ ফসল আবাদ করার মাধ্যমে কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমরা আশা করছি, চরফ্যাশন উপজেলায় এ তরমুজ অতি দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে।

বাংলা স্কুপ/ভোলা প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ